ধীরে ধীরে লকডাউন উঠে যাচ্ছে। এখন অনেকেই কারণে-অকারণে বাইরে যাবেন। বাড়িতে লোকজনের আনাগোনাও শুরু হবে। সেক্ষেত্রে ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখতে বাড়তি সতর্কতা রাখা প্রয়োজন। কারণ লকডাউন উঠে গেলেও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আছে। সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. এই সময় ঘরবাড়ি পরিষ্কারের কাজে ভরসা করতে পারেন অ্যালকোহল, প্যারক্সাইড বা ক্লোরিনযুক্ত কিছু উপাদানের উপর। এককথায় এগুলোকে‘ক্লিনিং এজেন্ট’বলা হয়। সাধারণ ওষুধের দোকানেই এগুলো পাওয়া যায়। এর সঙ্গে জীবাণুমুক্ত করার উপযোগী ওয়েট টিস্যুও কিনে রাখতে পারেন। এগুলো দিয়ে নিয়মিত ঘরবাড়ি-বাথরুম পরিষ্কার করুন।
২. ঘর মোছা বাড়িয়ে নিন। দিনে যেখানে দু’বার মুছতেন, সেখানে চার বার মুছুন। ঘর ঝাড়া-মোছার সঙ্গে ফ্যান ও এসি পরিষ্কার করাটাও খুব দরকারি। ঘর ঝাড়ামোছার সময় পারলে রোজই ফ্যান মুছে নিন। এসি সার্ভিসিং বন্ধ থাকলেও যতটা পারা যায় এর উপরিভাগ পরিষ্কার রাখুন।
৩. সাধারণত, বাড়িতে মেঝে সাবান পানিতে মুছে নিলেই চলবে। কিন্তু এই সময় বাড়ির প্রতিটি পৃষ্ঠই একই ভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে বার বার। তবে জীবাণুমুক্ত করার আগে জায়গাটা একেবারে পরিষ্কার করে নিন।
৪. ঘরবাড়ি পরিষ্কারের মধ্যে ফ্রিজ-ওয়াশিং মেশিন এগুলোও পড়ে। ফ্রিজের ভিতর লেবু কেটে রেখে দিন। এতে কোনও দুর্গন্ধ হবে না। এ ছাড়া ফ্রিজ ও ওয়াশিং মেশিনের বাইরেটা নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
৫. বাড়ির চারপাশে আগাছা হলে বা ঝোপঝাড় থাকলে হয় তা নিজেই পরিষ্কারের চেষ্টা করুন। তা না হলে প্রতি দিন জীবাণুনাশক স্প্রে করার চেষ্টা করুন।